সাইবার জগতের অদৃশ্য শত্রু

প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, কিন্তু একই সাথে খুলে দিয়েছে অপরাধের নতুন দরজা। জানুন, বুঝুন এবং সুরক্ষিত থাকুন।

৮২%

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সাইবার বুলিংয়ের শিকার।

৬৮%

ভুক্তভোগীই নারী, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানির শিকার হন।

৫০০০+

এর বেশি অভিযোগ প্রতিদিন জমা পড়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে।

বিপদ কত প্রকার ও কী কী?

MFS ও আর্থিক প্রতারণা

লটারি জেতা, চাকরি দেওয়া বা কাস্টমার কেয়ার प्रतिनिধির ছদ্মবেশে ফোন করে ওটিপি/পিন জেনে নিয়ে অ্যাকাউন্ট খালি করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া হ্যারেসমেন্ট

নকল আইডি খুলে, ব্যক্তিগত ছবি বা তথ্য ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেলিং, সম্মানহানি বা গুজব ছড়ানো হয়।

ফিশিং (Phishing)

ব্যাংক বা ফেসবুকের মতো দেখতে নকল ওয়েবসাইটের লিঙ্ক পাঠিয়ে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড চুরি করা হয়।

সাইবার অপরাধের বিবর্তন

প্রারম্ভিক পর্যায় (২০০০-২০১০)

ই-মেইল স্ক্যাম (নাইজেরিয়ান প্রিন্স), ভাইরাস ও ওয়ার্ম।

বিকাশ পর্ব (২০১১-২০১৮)

ফিশিং, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা, সোশ্যাল মিডিয়া আইডি হ্যাকিং।

উন্নত পর্যায় (২০১৯-বর্তমান)

র‍্যানসমওয়্যার, কর্পোরেট গুপ্তচরবৃত্তি, ডিপফেক, AI-ভিত্তিক আক্রমণ।

ভবিষ্যৎ ঝুঁকি

IoT ডিভাইস হ্যাকিং, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং атака, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় সাইবার যুদ্ধ।

তদন্তের গভীরে: একটি কেস স্টাডি

ঘটনা: একটি স্বনামধন্য পোশাক কারখানার ডিজাইন সার্ভার থেকে তাদের আসন্ন ঈদের কালেকশনের ডিজাইন চুরি হয়ে যায়। প্রতিযোগী একটি প্রতিষ্ঠান সেই ডিজাইন দিয়ে পোশাক বাজারে ছেড়ে দেয়।

তদন্ত: সাইবার পুলিশ তদন্তে নেমে দেখে, কোম্পানির একজন অসন্তুষ্ট ডিজাইনার সাধারণ একটি ছবির (JPEG) পিক্সেলের ভেতরে স্টেগানোগ্রাফি ব্যবহার করে সব ডিজাইন ফাইল লুকিয়ে পাচার করেছে। ই-মেইলে পাঠানো ছবিটি দেখতে ছিল একটি সাধারণ ফুলের ছবি।

শিক্ষা: অপরাধীরা সবসময় জটিল কৌশল ব্যবহার করে না। অনেক সময় খুব সাধারণ জিনিসের আড়ালেই লুকিয়ে থাকে বড় বিপদ। 내부 কর্মচারী দ্বারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি সাধিত হয়।

নারীদের বিরুদ্ধে সাইবার হয়রানি

আপনার ডিজিটাল বর্ম

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড

বড়-ছোট অক্ষর, সংখ্যা ও প্রতীকের মিশ্রণে কমপক্ষে ১২ অক্ষরের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। প্রতি ৩ মাস অন্তর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।

টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA)

আপনার সকল সোশ্যাল মিডিয়া এবং ই-মেইল অ্যাকাউন্টে 2FA চালু করুন। এটি সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর।

সন্দেহজনক লিঙ্ক ও অ্যাপ

অজানা উৎস থেকে আসা কোনো লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। অ্যাপ শুধুমাত্র অফিশিয়াল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন।

তথ্য শেয়ারে সতর্কতা

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন— ফোন নম্বর, ঠিকানা, NID নম্বর— অনলাইনে পাবলিকলি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

আপনি কি সাইবার অপরাধের শিকার?

ভয় না পেয়ে সাহায্য নিন। আপনার একটি অভিযোগ রুখে দিতে পারে বড় কোনো অপরাধ।